বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত বাংলা ভাষাভাষী সকলের জন্য প্রীতি, শুভেচ্ছা এবং খ্রীষ্টিয় ভালবাসা জানাচ্ছি। এমি বাংলাদেশ ট্রাস্ট মূলত খ্রীষ্টিয়ান চার্চ/মিশন কেন্দ্রিক বাইবেল শিক্ষা কার্যক্রম। বিগত ২১ অক্টোবর ২০১০ খ্রীষ্টাব্দে ৫ জন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীকে নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এখন এই সুসমাচার কেন্দ্রিক বাইবেল শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে আরও অনেকে যুক্ত হয়েছে।
এমি পরিবার (বাংলদেশে ও সারা পৃথিবীতে)
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৩০টিরও বেশী দেশে এমি মিশন (AMI MISSION) এমি কলেজ এন্ড সেমিনারী (AMI COLLEGE AND SEMINARY) নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে বাইবেলের শিক্ষাকে গ্রহণযোগ্য করে তু্লে ধরা হয়েছে। এমি কোর্স সমূহ এই সব দেশে তাদের স্ব স্ব ভাষায় পড়ানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও একইভাবে বাংলা ভাষায় এই শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে যেন গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত এই শিক্ষা সম্প্রসারিত হতে পারে। তাছাড়াও পশ্চিম বাংলায় বাংলা ভাষাভাষী খ্রীষ্টিয়ানেরাও এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারছে। আমাদের উদ্দেশ্য যেন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাংলা জানা সকলেই বাংলাতে আমাদের পাঠ্যক্রম গ্রহণ করতে পারে।
বিগত ২০১০ খ্রীষ্টাব্দের প্রথম দুটি বছরে আমরা বাংলাদেশে বেশ কটি অনাবাসিক ক্যাম্পাস গঠন করতে পেরেছি। এইসব অনাবাসিক ক্যাম্পাসের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে প্রায় ৫০০ ছাত্র-ছাত্রী আমাদের বাইবেল শিক্ষা গ্রহণ করতে সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়াও আমাদের রয়েছে ইংরেজি সিডি’র মাধ্যমে এই শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ এবং ছোট একটা আবাসিক ক্যাম্পাস। তদুপরি, আমরা ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ডাকযোগে এমি শিক্ষা কোর্স শুরু করেছি। ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত ডাকযোগে ছাত্র-ছাত্র সংখ্যা ১০০ হয়ে গেছে।
২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আমরা ৫০০ তরুণ-তরুণী এমন কি বয়স্কদের কাছেও আমাদের পাঠ্য পুস্তক থেকে ধারাবাহিক শিক্ষা দিয়েছি। তার মধ্যে সক্রিয় পড়াশোনার মধ্য দিয়ে ৭৯ জন কোর্স সম্পূর্ণ করে সার্টিফিকেট পেয়েছে। ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দে এই সংখ্যা ১১৬ তে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশে এভাবেই এমি পরিবার ক্রমশ বড় হচ্ছে। বলা বাহূল্য সারা বিশ্বে এই পরিবারের সদস্য-সদস্যা ৫০০০ ছাড়িয়ে গেছে।